হঠাৎ কেনো প্রথম আলোর ওপর খেপলেন জামায়াত আমির? JamatAmir | DrShafiqurRahman
হঠাৎ কেনো প্রথম আলোর ওপর খেপলেন জামায়াত আমির? JamatAmir | DrShafiqurRahman
হঠাৎ করেই রেগেমেগে আগুন জামায়াত আমির। তার এমন অগ্নিমুর্তি আর কখনও হয়তো দেখেননি কেউই। ডা. শফিকুল আলম আসলে খেপেছেন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ওপর। কিন্তু কেনো, কি কারণে পত্রিকাটির ওপর এত রাগ-ক্ষোভ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিরের? চলুন যাওয়া যাক মুল খবরে।
---
আজ পহেলা বৈশাখের দিন হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভের স্ট্যটাস জামায়াত আমিরের। সেখানে তিনি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর কঠোর সমালোচনা করে লিখেছেন--
প্রথম আলোর ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবিঃ এ কেমন অদ্ভুত আচরণ?
প্রথম আলোর গত ৩০ মার্চের পত্রিকায় ঈদ শুভেচ্ছার কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করেছে। পত্রিকাটা এর আগেও মহানবী (ﷺ)-কে অবমাননায় বায়তুল মোকাররমের খতিবের হাত ধরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান সম্পাদক মতিউর রহমান।
মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি খুবই জঘন্য। প্রথম আলো ঈদের মত একটি পবিত্র ইবাদাতকেও কঠাক্ষ করতে দ্বিধা করে নাই। তা অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
তার এই স্ট্যাটাসের পর পক্ষে বিপক্ষে নানা মতামত পাওয়া যাচ্ছে। কেউ বলছেন প্রথম আলো যেহেতু বরাবরই বামপন্থী এবং পশ্চিমাদের পারপাস সাভ করে ফলে মুসলমানদের ঈদ নিয়ে তাদের এমন অপকর্মের সমালোচনা করে ঠিক কাজই করেছেন জামাতে ইসলামির আমির শফিকুর রহমান। তারা এও বলছেন, এই প্রথম আলো পত্রিকা ভারতের দালাল ও সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে সেই শুরু থেকেই। এবার ঈদের শুভেচ্ছাতেও বাংলাদেশের কোনো মসজিদের ছবি না দিয়ে দিল্লির একটি মসজিদের ছবি তারা ফেসবুকে পোস্ট করেছিলো। তাতেকরে বুঝা যায় তারা বাংলাদেশপন্থী নয়। তাদের প্রেম ভালোবাসা সব হলো ভারত আর মোদিকেন্দ্রিক।
প্রথম আলোর সমালোচনা করতে গিয়ে তাদের ইসলাম ও বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতির বিরুদ্ধনীতিরও সমালোচনা করেছেন অনেকেই। তাদের মতে এই পত্রিকাটি সবসময় ইসলামী রাজনীতিকে হেয় করেছে, কটাক্ক করেছে। তারাই শাহবাগের গনজাগরণ মনচের পক্ষ নিয়ে আআওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছে। আর সেই ইসলামবিরোধী খাসলত এখনও তাদের যায়নি। আর এরি অংশ হিসেবে এবারের পবিত্র ঈদ নিয়ে তারা বিতকিত দুটি কাজ করেছে। একদিকে ঈদ কাডে কুকুরের ছবি আবার অন্যদিকে শুভেচ্ছা পোস্টে দিল্লির মসজিদ। এতে প্রমানিত হয় তারা একিসাথে ইসলামবিদ্বেশী অন্যদিকে ইন্ডিয়ার দালাল।
আবার প্রথম আলোর বিরুদ্ধে লেখায় জামায়াত আমিরের সমালোচনাও করছেন কেউকেউ। মোহাম্মদ ইশারাক নামের একজন জামায়াতকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, নববর্ষের প্রথম কৌতুক: জামাত একটা রাজনৈতিক দল। নববর্ষের দ্বিতীয় কৌতুক: জামাতিরা মেধাবী।
কল্লোল মুস্তফা নামের একজন লিখেছেন
পয়লা বৈশাখে জামাত আমিরের বেশ ইন্টারেস্টিং একটা পোস্ট। বসুন্ধরা গ্রুপের পত্রিকা কালের কন্ঠের সূত্র ধরে তিনি প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মহা গুরুতর এক অভিযোগ তুলেছেন! প্রথম আলো কি অপরাধ করেছে? ঈদ মোবারক জানানো কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করেছে! এটা নাকি ঈদের মত পবিত্র ইবাদতকে কটাক্ষ করবার জন্যই করা হয়েছে! কি অদ্ভুত মানসিকতা! একটা আনন্দ মিছিলে কত রকমের চরিত্রই তো থাকে। একটা ছেলের হাতে বেলুন, আকাশে একটা পাখিও দেখা যাচ্ছে। কুকরের ছবিটা সম্ভবত বাচ্চা মেয়েটার সঙ্গী হিসেবে এসেছে। একটা সর্বপ্রাণের আনন্দ মিছিল তো এরকমই হওয়ার কথা। এখানে ধর্মকে কটাক্ষ করার কথা মাথায় আসে কিভাবে! বোঝাই যাচ্ছে কেমন ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ বানাতে চায় জামাত। নাকি বসুন্ধরার পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ মিশনে নেমেছে জামাত!
খোমিনি এহসান নামের সাবেক শিবির নেতা লিখেছেন, জামায়াত আমীরের ন্যায্য সমালোচনা করায় যারা আমাকে পাগল বলেছিল তাদের বোঝা উচিত যে প্রথম আলোর কার্টুনের কুকুরটা আসলে তাদেরই প্রতিচ্ছবি। ডা. শফিকেরও বোঝা উচিত নিজে একদল অনলাইন কুকুর পালার পর নির্দোষ কার্টুন নিয়ে কুত্তা পাগল হওয়াটা শোভন নয়।
দশক, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে জামাত আমিরের মন্তব্য কি সঠিক নাকি ভুল জানান মন্তব্যের ঘরে।