close

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! HalalLife ওয়েবসাইটে আfriendfairs.comপনাকে স্বাগতম!

次に

বিএনপির সাথে যেসব আসন ভাগাভাগি করবে ছাত্রদের নতুন দল? KHALEDAZIA | NAHIDISLAM

0 ビュー· 15/05/25
বাংলা কথন
2

বিএনপির সাথে যেসব আসন ভাগাভাগি করবে ছাত্রদের নতুন দল?

জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্ররা একটি দল গঠন করেছে। যার নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি। দল গঠনের ঘোষনার দিন যে পরিমাণে সাড়া পাওয়ার কথা ছিলো তা পাওয়া যায়নি। সংসদ ভবনের সামনে সেদিন লোক সমাগম হয়েছিলো ২০-২৫ হাজার। যারমধ্যে দলীয় কর্মী ছাড়াও ছিলো উৎসুক জনতার ভীড়। একটি পক্ষের দাবি এই সমাবেশের বেশিরভাগ জনবল সরবরাহ করেছিলো জামায়াত ও শিবির। এবং সেটি অনেকটা সত্যও বটে।

আপস

সরকারে থেকে, সরকারি সুবিধা নিয়েও কাঙ্খিত সাড়া না পাওয়ায় অনেকটাই হতাশ দলের শীর্ষ নেতারা। এদিকে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের জামাত-বিরোধী লেখালেখি ও নাগরিক পার্টি থেকে শিবিরের সাবেক নেতাদের বাদ দেয়ায় আগেরমতো জামাতি-শিবিরের সমর্থন পাচ্ছেনা নতুন দলটি। দূরত্ব সুষ্টি হয়েছে জুলাইয়ের অন্যতম প্রধান শক্তি মাদ্রাসা ও প্রাইভেট  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথেও। আর চাদাবাজি, সমকামী ইস্যু, মাদক ব্যবসা এমন নানা কান্ডে দলটির কর্মী সমর্থক ও নেতারা জড়িয়ে পড়ায় ভুল বার্তা যাচ্ছে জনগনের কাছেও।

আপস

সবমিলে ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ছাত্রদের নতুন দল ও তাদের নেতারা। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যে ভালো ফল করবেনা এটা দিবালকের মতোই স্পষ্ট। তাহলে কি হবে এনসিপির ভবিষ্যত...কিভাবে তারা মোকাবিলা করা চিন্তা করছে এই সংকট!

আপস

রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের আশির্বাদে গড়ে ওঠা দলটি সংকট থেকে উত্তরণে দুটি পথের চিন্তা করছেন। একটি হলো হার্ডলাইন অন্যটি সমঝোতা। প্রথম পদক্ষেপটি বেশ কঠিন। সেটি হলো গণপরিষদ নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনের নামে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া। এভাবে ২-৩ বছর ক্ষমতায় থেকে নিজেদের দল শক্তিশালী করার পর নির্বাচন দিলে বেশ ভালো ফলাফল করা সম্ভভ বলে মনে করছেন ছাত্ররা। এক্ষেত্রে তাদের প্রধান বাধা হলো বিএনপি। জামায়াত তাদের সহযোগিতা না করলেও খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করবেনা। যদিও এই পথ বেশ কঠিন। কারণ ড মোহাম্মদ ইউনুসের আন্তর্জাতিক সমর্থন একবোরেই তলানীতে। বিশেষ করে তার সমর্থিত আমেরিকান প্রেসিডেন্ড প্রার্থী কমলা হ্যারিস হেরে যাওয়ায় আগের মতো বৈশ্বিক সাপোর্ট পাচ্ছেননা তিনি। আবার দেশের ভেতর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো নয়। তারউপর বিএনপি যদি মাঠে আন্দোলনে নামে তাহলে সরকারের টিকে থাকা বেশ মুশকিল হয়ে দাড়াবে। ইউনুস অবশ্য চেষ্টা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন পাওয়ার এবং সেজন্য ট্রাম্পের ডান হাত হিসেব পরিচিত ইলন মাস্ককে হাত করতে চাইছেন কিন্তু সেই চান্স ফিফটি ফিফটি। কেনোনা বাংলাদেশের ব্যাপারে মোদীর কথাকেই শেষ কথা হিসেবে ধরে নিবেন ট্রাম্প। ইউনুস অবশ্য বিকল্প পথও খুজে রেখেছেন। এজন্য এ মাসেই যাচ্ছেন চীন সফরে। যদি চায়না তাকে পুরোপুরি সমর্থন দেয় তবে নির্বাচন পেছানোর পদক্ষেপটা বেশ সহজ হবে। আর  যদি ব্যর্থ হন!

আপস

ছাত্রদের হাতে একটি সহজ ও ভালো উপায় আছে। তা হলো বিএনপির সাথে সমঝোতা। আসন ভাগাভাগি। এই সমঝোতার ব্যাপারটি নিয়েই কাজ করছেন বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুলের জামাতা ফাহাম আব্দুস সালাম ও একিটভিস্ট সাহেদ আলম। তারা দুজনি চাচ্ছেন ছাত্ররা বিএনপির সাথে নির্বাচনী জোট করুক। এজন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে এসে ছাত্রনেতাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করছেন ফাহাম। যদি এই জোট সফলতার মুখ দেখে তবে ছাত্ররা অন্তত ২০ টি আসন চাইবেন। যারমধ্যে নাহিদ ইসলামের ঢাকা-১১, হান্নান মাসুদের নোয়াখালী-৬, মাহফুজ আলম লক্ষীপুর-১, সারজিস আলম পঞ্চগড়-১, হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪, আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা-৩, আক্তার হোসেন-রংপুর-৪ ও ডা. তাসনিম জারার ঢাকা-১৭ । এই আসনগুলোসেহ মোট ২০ টি আসন ছাত্রদের নতুন দলকে ছেড়ে দিলে তবেই বিএনপির সাথে জোট হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি পরবর্তীতে নাহিদ, আসিফ ও মাহফুজকে মন্ত্রী বানানোর শর্তও জুড়ে দেয়া হতে পারে বিএনপিকে।

আপস

এসব সমঝোতার ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নেতাদের কথাবার্তায়। দর্শক আপনার কি মনে হয় বিএনপির সাথে ছাত্ররা জোট করবেন নাকি নিজেদের শক্তিতেই ক্ষমতায় যাবেন?

 


#bangladesh #bnp #nahidislam #asifmahmud #mahfujalam

もっと見せる

 0 コメント sort   並び替え


フェイスブックのコメント

次に