সাংবাদিক ইলিয়াসকে যে জবাব দিলেন শিবির সভাপতি! Shibir | Elias

প্রতিবেদনটি দেখলে জামাত-শিবির সম্পর্কে ভুল ধারণা বদলাতে বাধ্য!
#eliashossain
#pinaki
#mirzaabbas
#bnpnews

Welcome to Bangla Kathan news channel, your go-to spot for everything happening in the world! Whether it’s breaking news, politics, entertainment, or sports, we’ve got it all. Our dedicated team works hard to bring you accurate and timely news that matters.

We’re not just a news source—we’re a community. By subscribing, you join a network of viewers who stay informed and engaged. So hit that subscribe button and never miss out on the news that’s important to you. Thanks for choosing Bangla Kathan as your trusted source for staying connected!


This channel may use some copyrighted material without the owner's permission, but it falls under "Fair Use" according to Bangladesh's Copyright Act 2000, Chapter 6, Section 36, and Chapter 13, Section 72. The law allows "fair use" for things like criticism, comments, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is permitted by copyright law, even if it might otherwise be an infringement. Non-profit, educational, or personal use supports the case for fair use.

ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাহিদুল ইসলাম সেইসময় দায়িত্ব নিয়েছিলেন যখন শেখ হাসিনা তার স্বৈরাচারী রুপের সবোচ্চ ব্যবহারটা শুরু করেছিলেন। ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিবিরের মাঠ পযায়ের যে সফল ভূমিকা তা অনেকটাই সম্ভব হয়েছিলো জাহিদুল ইসলামের দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাদিক কায়েম, এসএম ফরহাদ আর সিবগাতুল্লাহ সিবগাদের সময়োপযোগী সাহসী পদক্ষেপের কারনে। কোটা আন্দোলনটাকে ১ দফায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত শিবির সেদিনি নিয়েছিলো যেদিন তাদের সাথী রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ শহীদ হন৷ আর তাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা যখন ৯ দফা বাস্তবায়নেই হিমশিম খাচ্ছিলো তখন শিবিরের পক্ষ থেকেই তাদের বলা হয়েছিলো এক দফা তথা শেখ হাসিনার পতনের ঘোষণা দিতে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আব্দুল কাদের, হান্নান মাসুদরা তখন সাদিক কায়েমের কাছে জানতে চেয়েছিলেন মাঠে এত লোক তারা নামাবেন কি করে। সাদেক কায়েম এককথায় বলেছিলেন ঘোষণা তোমরা দাও লোক আমরা দেবো। আর এই সাহস সাদিককে কে জুগিয়েছিলো জানেন? জাহিদুল ইসলাম। হ্যা, এই জাহিদ সেই জাহিদ। আন্দোলন সফল করে শেখ হাসিনার পতন ঘটসনোর অন্যতম নেপথ্যের নায়ক। যিনি তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে সেক্রেটারি জেনারেল থেকে আবারো সভাপতি হয়েছেন। শিবিরে এরকমটা খুব কমি হয় যে একি ব্যক্তি শীষ দুই পদে ধারাবাহিকভাবে বসেছেন। জাহিদ সেই সফলতার অন্যতম অনন্য একজন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদের মায়াভরা হাসি আর চাহনিই যেনো কমীদের ভেতর প্রানচাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। কিন্তু সেই জাহিদকেই কিনা প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে, বলা হচ্ছে সে ভারতের র এর এজেন্ট। তাকে নিয়ে অবমাননাকর এক পোস্ট দিয়েছেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। তার ভেরিফাইড আইডিতে কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শমার সাথে একটি ভিডিও ছড়িয়ে লিখেছেন--সন্তোষ শর্মাকে হাফ সেজদারত শিবির সভাপতি....ছি ছি ছি। এটা একটা ক্যাপশন হতে পারে? মানে একজন মানুষ জেনে-বুঝে চরম খারাপ কোনো মুসলমানকে নিয়েও এমন কথা বলতে পারেন? সুস্থ স্বাভাবিক হলে আপনি অবশ্যই বলবেন না৷ ইলিয়াস হোসেনের এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে অনেকেই লিখেছেন ইলিয়াসের ফেসবুক পেজটা হয়তো হ্যাক হইছে, ছাত্রলীগের কেউ হ্যাক করে শিবিরের বিরুদ্ধে প্রচারনা চালাচ্ছে। কেউ বলেছেন এই পেজের এডমিন হয়তো শিবির বিরোধী কেউ। কারণ ইলিয়াস হোসেন এমন কাজ কখনোই করতে পারেননা। কিন্তু বাস্তবতাতো মেনে নিতেই হবে৷ আসলে ইলিয়াস হোসেনি এসব পোস্ট করছেন, আর এটাই সত্যি। তিনি শুধু বতমান সভাপতি জাহিদকে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তা নয়, কটাক্ষ করেছে শিবিরের অন্যতম সেরা সভাপতি ও জামাতের ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সেক্রেটারিকে নিয়েও। শফিকুল ইসলাম মাসুদের ছবি দিয়ে লিখেছেন সন্তোষ শমা নাকি তার বাবা৷ ভাবা যায়? অবশ্য এসব লিখে জাহিদ কিংবা মাসুদের কোনো ক্ষতিই করতে পারেননি ইলিয়াস উল্টো কমেছে তার নিজের জনপ্রিয়তাই। তার চরম ভক্তরাই সেখানে কমেন্ট করে বলেছেন আজ থেকে তারা ইলিয়াসকে বয়কট করলেন। তারসাথে আর তারা নেই। কারণ জামাত শিবিরের ১০১ টা ভুল থাকতে পারে, সেটা আলোচনার জন্য প্রক্রিয়াও আছে তাইবলে আওয়ামীলীগের হাতে সবচেয়ে মজলুম হওয়া দল আর সেই দলের নেতাদের নিয়ে এমন বাজে আচরন? এটা কেনোভাবেই সংশোধনের জন্য সমালোচনা নয়, বরং শিবির ধ্বংসের বড় চক্রান্ত। জাহিদের সমথকরা ইলিয়াস হোসেনকে ধুয়ে দিলেও জাহিদ যে একজন অমায়িক মানুষ এবং ইসলামি আন্দোলনের সত্যিকারের কমী তার স্বাক্ষর তিনি রেখেছেন৷ তিনি মিজা আব্বাসের মতো কড়া ভাসায় গালাগাল করেননি ইলিয়াসকে যেটা আব্বাস করেছিলেন পিনাকী ভট্টাচার্যের সাথে। জাহিদ সকালে ফজর নামাজ শেষে যখন জানতে পারেন ইলিয়াস হোসেনসহ ছাত্রদল আর ছাত্রলীগের লোকেরা তাকে মোদির এজেন্ট বানাচ্ছেন তখন তিনি যাস্ট একটি হাদিস লিখেছেন নিজের ফেসবুক ওয়ালে--হাদিসটি হলো--
রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন-"কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তার সত্যতা যাচাই না করে তা-ই প্রচার করে বেড়ায়। --
সহিহ মুসলিম।
জাহিদের এই এক বাক্যের হাদিস কি পরিবর্তন আনবে ইলিয়াস কিংবা অন্য গুজবপ্রচারকারীদের মানসপটে? তারা কি শিবিরের অমায়িক এই সভাপতির বিরুদ্ধে করা মিথ্যা সব অভিযোগ তুলে নিবেন নাকি তাদের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন? দশক বলে রাখা ভালো রমজানের একটি অনুষ্ঠানে সব সাংবাদিকদের সাথে কুশল বিনিময়ের ফাকে সন্তোষ শমার সাথেও কুশল বিনিময় করেছিলেন শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। আর সেই ভিডিও নিয়েই তার বিরুদ্ধে রয়ের এজেন্ট ট্যাগ দিচ্ছে একটি পক্ষ।