close

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! HalalLife ওয়েবসাইটে আfriendfairs.comপনাকে স্বাগতম!

Als nächstes

নায়িকা মেঘনা আলমের সাথে সৌদি রাষ্ট্রদূতের পর'কিয়ার সম্পর্ক ফাঁস!

0 Ansichten· 15/05/25
বাংলা কথন
2
Im

নায়িকা মেঘনা আলমের সাথে সৌদি রাষ্ট্রদূতের পর'কিয়ার সম্পর্ক ফাঁস!

ছবির এই ব্যক্তির নাম ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। ইনি বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত। গতকাল ভাইরাল হওয়া মেঘনা আলমের গ্রেফতার হওয়ার লাইভ ভিডিওতে যে অ্যাম্বাসাডর ঈসার কথা বলা হচ্ছিলো উনিই সেই ব্যক্তি। নায়িকা মেঘনা আলমের ঘটনার যে দিকটা এখনো পর্যন্ত আনকাভারড সেটা হচ্ছে এই রাষ্ট্রদূতের সাথে তাঁর সম্পর্কের ব্যাপারটি। একপক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ঈসা মেঘনার সাথে একপ্রকার সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। সম্পর্ক শেষ হবার পর মেঘনা তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করেছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করছিলেন। তবে কীসের জন্য সেই ব্ল্যাকমেইল তা শিওর না। মেঘনার কাছে কি কেনো গোপন ভিডিও বা তথ্য আছে যা ফাস করলে বিপদে পরবেন রাষ্ট্রদূত?

এ নিয়ে সাংবাদিক ফজলুল বারির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। তিনি লিখেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈশা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মডেল মেঘনার। তিনি একজন আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিয়োগিতার আয়োজকও। নিজের স্ত্রী সন্তানদের কথা গোপন রেখে রাষ্ট্রদুত মেঘনার সাথে প্রমে করেন। গত ২৫ মার্চ মেঘনা ফেসবুকে পোস্ট করেন তার বাগদান, বিবাহ ইত্যাদি বিষয়ে। তিনি জানান সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা উনার হাজবেন্ড। কিছুদিন পরই উনি জানতে পারেন ঈশা বিবাহিত, তার স্ত্রী, সন্তান আছেন যেটা তার কাছে লুকিয়ে ছিলেন রাষ্ট্রদূত ঈশা। মেঘনা আলম ঈশার স্ত্রীকে বিষয়টি জানান, এবং বিয়ের রিংও ফেরত দিয়ে দেন।

সৌদি সরকার থেকে চাপ আসে ঈশার উপর। ঈশা তার কূটনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সরকারকে কনভিন্স করে এবং মেঘনাকে গ্রেফতার করায়। মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নেয়া হবে তার দেশে।


আবার অনেকেই বলছেন এটি কূয়ো কেস। কূয়ো কেসে ফেঁসে গেছেন মেঘনা আলম।

মুলত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদুতের সাথে দেহ কেনাবেচার এগ্রিমেন্ট হয়েছিলো মেঘনার। মানে মুতা ম্যারেজের মত তিন মাসের বউ। টাকার বিনিময়ে বউ হওয়া আরকি। তিন মাস পর বউগিরি আর থাকে না।

কিন্তু মেঘনা আলম এগ্রিমেন্ট শেষ হওয়ার পরও পেট্রো-ডলারের লোভ সামলাতে পারে নি। ব্ল্যাক মেইল করতে থাকেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত বলে কথা। প্রায় ১২ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান করে যে দেশ। তাদের 'তাওয়া' কি পরিমাণ গরম থাকে, নাবালকও বোঝে। ফলে মেঘনাকে আটকাতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন রাষ্ট্রদূত। আর একারণেই গভীর রাতে আটকানো হয় নায়িকা মেঘনাকে। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ২ এর এফ ধারায় ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।


কেউকেউ মেঘনা আলমের পক্ষ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঘনেরও অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন, অন্য একটি দেশের নাগরিকের স্বাথ রক্ষা করতে গিয়ে নিজ দেশের নাগরিকের বিরুদ্ধে গেছে সরকার। মেঘনা আলমকে যে আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা সোজা বাংলায়, কোনো ধরনের জবাবদিহি বহির্ভূত আগাগোড়া ফ্যাসিস্ট আইন। জাতিসংঘের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ১৯৪৮ এর ৯ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, কাউকে যথেচ্ছভাবে গ্রেফতার করা তাঁর মানবাধিকারের লঙ্ঘন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দীর্ঘদিন ধরে এধরণের ফ্যাসিস্ট আইনের বিরোধীতা করে আসছে।
কিন্তু যেহেতু এখানে, সৌদি আরবের একজন রাষ্ট্রদূত জড়িত, সো এসব কোনোকিছুই আর মানা হয়নি।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এই যে এতোকিছু ঘটে গেলো, অতচ ঘটনার মূল বাদী অ্যাম্বাসেডর সাহেব কিন্তু কোনো মামলাই করেন নাই। ইনফ্যাক্ট, তাঁর মামলা করার মতো গ্রাউণ্ডই নাই। কেন জানেন? যদি মেঘনার ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনা সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তাঁর সাথে অ্যাম্বাসেডরের যে কোনো এক প্রকার সম্পর্ক ছিলো, সেটাও ডেফিনিটলি সত্য। আর সেই সম্পর্ক নিশ্চয়ই স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নয়। আর যদি সেই সম্পর্কের থ্রু তে অর্থনৈতিক লেনদেন হয়ে থাকে, তাহলে আইন অনুসারে সেটাও ইলিগ্যাল৷ কারণ বাংলাদেশের আইন এসকর্ট সার্ভিসকে লিগ্যালাইজ করে না। তার মানে মেঘনা ব্ল্যাকমেইল করার আগেই, অ্যাম্বাসেডর সাহেব ফেঁসে আছেন। একারণেই সোজাসাপ্টা আইনের আশ্রয় না নিয়ে তাঁকে শরণাপন্ন হতে হয়েছে ক্ষমতাধর বন্ধুদের এবং এমন একটা আইনের প্রয়োগ করতে হয়েছে, যে আইন সব ধরনের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে। কারণ এই ঘটনা রেগুলার কোর্টে উঠলে মেঘনার সাজা তো হতোই, সাথে ঈসা ইউসুফের থলের বেড়ালটাও বের হয়ে যেতো।

শোনা যাচ্ছে ইতোমধ্যে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে তার দেশে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। দশক, এই ঘটনায় কি সৌদির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটবে?

Zeig mehr

 0 Bemerkungen sort   Sortiere nach


Facebook Kommentare

Als nächstes